ব্রি ধান৮৭’র ওপর এক কৃষক মাঠদিবস ২২ নভেম্বর বরিশালের এটিআই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগই দেশকে জীবন্ত রেখেছে। সরকারের সহযোগিতার হাত উন্মুক্ত। বীজ-সারের কোনো সংকট নেই। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তাই ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন আরো বাড়ানো দরকার। কৃষক আর কৃষিবিদদের সমন্বিত প্রচেষ্টাই তা সম্ভব। তবেই দেশ হবে কৃষিতে স্বনির্ভর সোনার বাংলা।
এটিআই’র অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া ।
এটিআইর প্রশিক্ষক সোমা রানী দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার, কৃষক মো. কবির উদ্দিন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে এটিআই’র উধর্বতন প্রশিক্ষক যুথিকা পাল, ব্রির উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মনিরুজ্জামান কবীর, এসএসও ড. আবু সাঈদ, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নিয়াজ মোর্শেদ, বাবুগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহ মো. আরিফুল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মাঠদিবসে শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রধান অতিথি ব্রি ধান৮৭’র শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ব্রি ধান৮৭’র একটি উচ্চফলনশীল আগাম জাত। এর জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন প্রায় ৬.৫ মেট্টিক টন। চলতি বছরে বরিশাল জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৬ শ’ ৫০ হেক্টর এবং অর্জন হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬ শ’ ৮৫ হেক্টর।